তবু বেঁচে আছি
-কাজল দাস
অন্ধকারে পথ চলতে চলতে-
কখন যেন, অন্ধকারকে ভালোবেসে ফেলেছি!
আঘাত সহ্য করতে করতে, কখন যেন-
সহ্যের সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে তর্জনীর বুক।
চোখের কোণে জোয়ার আসে না আর,
বয়ে যায় লাভা হয়ে গভীরে।
স্বপ্নগুলো ডানা ভাঙা পাখির মতো,
খুঁজে ফেরে তাদের অর্থহীন স্বাধীনতা।
শরীর তার অক্ষমতাকে অস্বীকার করে
ছুটে চলেছে অপরাজেয় জীবনের দিকে।
তবু যেন বেঁচে আছি, বেঁচে থাকার আনন্দ মিছিলে
কিছু গান, কিছু কবিতা আজও ঘুমোতে দেয় না,
জাগিয়ে রাখে নিদ্রাহীন- চার দেয়ালের কবরে।
তবু যেন বেঁচে আছি ছেঁড়া ছেঁড়া
মনগড়া কিছু কাগজের টুকরো নিয়ে।
কিছু লাল নীল শব্দকে আঁকড়ে ধরে
হেঁটে চলেছি অবিরত।
উষ্ণ প্রতীক্ষার অবিচল স্বপ্ন, মরতে চেয়েও-
যেন মরে না, তুলে ধরে মুখ আকাশের দিকে।
তবু যেন বেঁচে আছি কলমের বিষাক্ত ছোবলে,
প্রচন্ড শক্তিতে বাঁচিয়ে রেখেছি-
আমার নির্ভেজাল কল্পনার পৃথিবী।